ঢাকা , বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫ , ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ফের আইটেম গানে নাচবেন তামান্না সম্মানসূচক পাম ডি’অর পাচ্ছেন রবার্ট ডি নিরো মালাইকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সিআইডিতে আসছে নতুন এসিপি বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানি গায়িকা আইমা বেগ হলে বাড়লো জংলির শো ছেলেকে নিয়ে ছুটি কাটাতে সিঙ্গাপুরে অপু নতুন ছবি নিয়ে পর্দায় আসছেন মোশাররফ করিম সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের নির্দেশ মাউশির ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘরে ঢ়ুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা মোদির মতো নেতাকে ছুড়ে ফেলার বিকল্প নেই -সারজিস আট মাসের শিশুকে অপহরণের পর বিক্রি, ৮ দিন পর যশোর থেকে উদ্ধার ঈদযাত্রার ১১ দিনে সড়কে ঝরল ২৪৯ প্রাণ নওগাঁ বাড়ির ভেতরে মিললো ভাইবোনের মরদেহ পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ নয় জাটকা সংরক্ষণের আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যা মামলায় আরসা প্রধানসহ ১০ জন কারাগারে মার্চে ৪৪২ নারী নির্যাতনের শিকার, ধর্ষণ ১৬৩ -মহিলা পরিষদ ১০ এপ্রিলের মধ্যে যোগদানের নির্দেশ প্রধান শিক্ষকদের বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে স্টার্টআপ খাতে ৯০০ কোটি টাকার তহবিল সবার অংশগ্রহণে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের প্রচেষ্টা -আলী রীয়াজ

গরিবের গরুর খামার পেয়েছিলেন মন্ত্রী সচিবের আত্মীয়স্বজনরা

  • আপলোড সময় : ২৯-০১-২০২৫ ১২:০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০১-২০২৫ ১২:০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
গরিবের গরুর খামার পেয়েছিলেন মন্ত্রী সচিবের আত্মীয়স্বজনরা
* ২৪ কোটি টাকার পাঁচটি হেইফার সেন্টারই পান আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠরা
* দুর্নীতি আখ্যা দিয়ে হেইফার সেন্টার পুরোপুরি বাতিল ও মন্ত্রী-সচিবদের এলাকা বাদ দেয় পরিকল্পনা কমিশন


দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলায় দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয় বিগত সরকার। পাঁচ হাজার গরিব উপকারভোগীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দুই হাজার নারীর সরাসরি অর্থনৈতিক কাজে যুক্ত করা ছিল প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। অথচ মূল জায়গা থেকে সরে এসে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-সচিবদের স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের দেয়া হয় বিশেষ সুবিধা।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে দেশের দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলাগুলোয় উন্নত সংকর জাতের গাভি পালনের মাধ্যমে দুগ্ধ উৎপাদন বাড়াতে ১৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সমবায় অধিদফতর প্রকল্পটি হাতে নেয়। এর মাধ্যমে দেশের ৩৮টি জেলার ৫০টি দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলায় বছরে গড়ে সাড়ে চার লাখ লিটার দুগ্ধ উৎপাদন বাড়িয়ে পাঁচ হাজার উপকারভোগীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ছিল মূল উদ্দেশ্য। নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত প্রকল্পটির ব্যয় ৪০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, আর্থিক অগ্রগতি ২৫ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং বাস্তব অগ্রগতি ৪৬ দশমিক ২০ শতাংশ। প্রকল্পের টাকা সঠিকভাবে খরচ করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পে পাঁচটি হেইফার সেন্টার (গাভি রাখার ঘর) নির্মাণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। পাঁচটি হেইফার সেন্টারের একটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয় সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের নিজের এলাকা যশোরের মণিরামপুরে। সেন্টারটি দেয়া হয়েছিল তারই কাছের লোককে। প্রভাব খাটিয়ে সাবেক সমবায় সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদারও নেন একটি। সেটা দেয়া হয় তার কাছের স্বজনকে। শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে তার স্বজনের বসবাস। সমবায় অধিদফতরের প্রভাবশালী কর্মকর্তা গালিব খানের এলাকা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় তার আত্মীয়কে দেয়া হয় একটি সেন্টার। চতুর্থটি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিএস হারুনুর রশিদের এলাকা বরিশালের মুলাদিতে তার কাছের লোককে। পঞ্চমটি বরাদ্দ দেয়া হয় মানিকগঞ্জের সদর উপজেলায় মিল্ক ভিটার সাবেক এক পরিচালককে। একটি হেইফার সেন্টার পাওয়া মানে কয়েক কোটি টাকার সুবিধা পাওয়া। যে সুবিধার মধ্যে থাকবে গাভি ও গাভির খাবারসহ সংশ্লিষ্ট উপকরণ। এই পাঁচটি হেইফার সেন্টার এবং হেইফার সেন্টারের জন্য বরাদ্দ ৩০০ গাভি ও গাভির খাবার কেনার টাকা প্রকল্প থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে। এ খাতে মোট বরাদ্দ ছিল ২৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। এই বরাদ্দ খাতা-কলমে অনুমোদিত হলেও বাস্তবায়ন শুরু হয়নি। তবে মন্ত্রী-সচিবসহ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা সবাই বর্তমানে আত্মগোপনে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রকল্পের কাজ তদারকির জন্য সমবায় অধিদফতর, আইএমইডি ও পরিকল্পনা কমিশনের সমন্বয়ে গঠিত হয় কমিটি। এই কমিটি প্রকল্পের সার্বিক বিষয় তদারকি করে। মন্ত্রী-সচিবদের প্রভাব খাটিয়ে হেইফার ভবন নির্মাণের বিষয়টি তদন্তে উঠে আসে। ফলে বাতিল করা হয়েছে খাতটি। প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য সমবায় অধিদফতর পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগে প্রস্তাব পাঠায়। বিভাগের সদস্য ও সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্ল্যা ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় ২৪ কোটি টাকা বাদ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় কৃষককে দুটি বকনা বাছুর কেনা বাবদ দুই বছরে দুই লাখ টাকা ঋণ দেয়ার পরিকল্পনা আছে। দুই ধাপে দুই লাখ টাকা দেয়া হবে। ঋণে সার্ভিস চার্জ ৩ শতাংশ। এক বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ সাড়ে তিন বছরে এই টাকা ফেরত দিতে হবে। ঋণের দুই লাখ টাকার মধ্যে দুটি বকনা বাছুর বাবদ একলাখ ৬০ হাজার এবং খাবার কেনা বাবাদ ৪০ হাজার টাকা। ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে গাভি পালনের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গোয়ালঘরসহ ঘাস চাষের জন্য কিছু জমি থাকা লাগবে। প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল দুগ্ধ ঘাটতি এলাকায় গরু পালনে আগ্রহী পাঁচ হাজার গোয়ালার মধ্যে স্বল্পসুদে ঋণ বিতরণের জন্য। প্রকল্পে গোয়ালাদের গাভি কিনতে বরাদ্দের ১০০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দেয়া হলেও পাঁচটি হেইফার সেন্টার নির্মাণের ২৪ কোটি টাকা মন্ত্রী-সচিবদের জন্য অনুদান হিসেবে রাখা হয়, যা ফেরত দিতে হবে না। একইভাবে হেইফার সেন্টারের ৩০০ গাভি কেনা ও গাভির খাবারের টাকাও মন্ত্রী-সচিবদের স্বজনদের অনুদান হিসেবে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের জেলা গোপালগঞ্জসহ সাত জেলার ১২ উপজেলা বাদ পড়ছে প্রকল্প থেকে। এর মধ্যে রয়েছে পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক সচিব কামালউদ্দিন তালুকদারের শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, সমবায় অধিদপ্তরের প্রভাবশালী কর্মকর্তা গালিব খানের এলাকা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা, প্রকল্প অনুমোদন পেতে যুক্ত করা সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর এলাকা সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ, সাবেক রাষ্ট্রপতির এলাকা কিশোরগঞ্জের মিঠামইন, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের এলাকা কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমদের ময়মনসিংহের তারাগঞ্জ, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা, রাজশাহীর তানোর, রাজবাড়ীর কালুখালী, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী এবং খুলনার পাইকগাছা। এসব এলাকা বাদ দিয়ে নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, ভোলা ও চট্টগ্রাম জেলা যুক্ত করা হচ্ছে।
প্রকল্পটির কার্যক্রম একবছর বিলম্বে শুরু হওয়া, প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে বিলম্ব এবং পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ থেকে প্রকল্প সংশোধনের জন্য যাচাই-বাছাই কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচ্য প্রকল্পের পিএসসি সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ কোটি ৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। এখন ১৩৩ কোটি ৮১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জুলাই ২০২৬ থেকে জুন ২০২৭ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রথম সংশোধন প্রস্তাব করা হয়েছে।
সমবায় অধিদফতর থেকে ১০০টি উৎপাদনমুখী সমবায় সমিতি গঠন, নিবন্ধিত সমবায় সমিতিগুলোর সদস্যদের মধ্যে ১০০ কোটি টাকার ঘূর্ণায়মান তহবিল বিতরণ, হোলস্টান ফ্রিজিয়ান ও জার্সি জাতের মাধ্যমে গাভির জাত উন্নয়ন ও ১০ হাজার গাভি স্থায়ী সম্পদ হিসেবে সৃষ্টি, সমবায়ের মাধ্যমে পাঁচ হাজার জন প্রশিক্ষিত খামারি ও গ্রামীণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি, ৩৮ জেলার ৫০টি উপজেলায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য পশুপালনভিত্তিক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।
সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঋণ আদায় কার্যক্রমের গ্রেস পিরিয়ড ১৫ মাস হওয়ায় প্রকল্পের মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে মেয়াদ এক বছর বাড়ানো প্রয়োজন। মূল অনুমোদিত প্রকল্পে ৩৮টি জেলা রয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত সংশোধিত ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রাজশাহী, সুনামগঞ্জ জেলা বাদ দিয়ে নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, চট্টগ্রাম, ভোলা ও বরগুনা জেলা নতুনভাবে সংযোজন করে মোট ৩৬টি জেলা নির্বাচন করা হয়েছে। একই সঙ্গে মূল অনুমোদিত ডিপিপির ১২টি উপজেলা বাদ দিয়ে নতুন ১২টি উপজেলা সংযোজন করে সংশোধিত প্রস্তাবিত ডিপিপিতে প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন জেলা ও উপজেলা সংযোজন এবং বাদ দেয়ার বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে কমিশন।
কুরিয়ার, যাতায়াত ব্যয়, সেতুর ওপর টোল, ক্যামেরা প্রভৃতি নতুন খাত সংযুক্ত করা হয়েছে। এসব খাতের ব্যয় যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছে কমিশন। প্রশিক্ষণ ব্যয় খাতে প্রশিক্ষণের সংখ্যা ৪০৮ থেকে বাড়িয়ে ৭৫৪টি করা হয়েছে, সম্মানী ও পারিশ্রমিক খাতে ১৭ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, অনুষ্ঠান ও উৎসব খাতে ১০ লাখ টাকা বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকা করা হয়েছে। এসব অঙ্গে ব্যয় বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কমিশন।
২৪ কোটি টাকা বাদ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূইয়া বলেন, প্রকল্পে একটা খাত রাখা হয়েছিল যেখানে ব্যয় ধরা হয় ২৪ কোটি টাকা। এটা আমরা পুরোপুরি বাতিল করে দিয়েছি। এই টাকা খরচ করার কোনো কারণ আমরা দেখি না। অপচয় বা অতি মূল্যায়িত অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা জনগণের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করবো। প্রকল্পে যা লাগবে তা ব্যয় করবো, তবে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় রাখা হবে না।
প্রকল্পটির পরিচালক তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রকল্পের বেশ কিছু বিষয় সংশোধন করা হবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য প্রকৃত সুফলভোগীদের হাতে প্রকল্পের সুফল তুলে দেয়া। এজন্য প্রকল্পটি সংশোধন করা হবে। প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। একটা পিইসি সভা হয়েছে। কিন্তু রেজ্যুলেশন স্বাক্ষর হয়নি। মন্ত্রী-সচিবদের স্বজনদের বরাদ্দ বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন বরাদ্দ দেয়া হয় তখন আমি ছিলাম না। আমি প্রকল্পের দ্বিতীয় নম্বর পিডি। তবে বরাদ্দ দেয়া হলেও এক টাকাও খরচ করতে দেয়া হয়নি। তার আগেই বরাদ্দের টাকা বাতিল হচ্ছে। নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে প্রকল্পের কাজ। অনেক ব্যয় কমানো হচ্ছে। কৃচ্ছ্রসাধন করা হবে।
ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফাকে মুজেরী বলেন, স্বজনপ্রীতি এক ধরনের দুর্নীতি এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রকল্পে কিন্তু স্পষ্ট করা আছে গাভি কাদের বিতরণ করা হবে। প্রকৃত সুফলভোগীদের বাদ দিয়ে মন্ত্রী-সচিবদের স্বজনদের দেয়া মানে এক ধরনের বড় দুর্নীতি। ফলে প্রকল্পের উদ্দেশ্য সফল হবে না, এটা সরকারি অর্থের অপচয়। তিনি বলেন, সচিব-মন্ত্রীর স্বজনদের কেন দিতে হবে? তাদের স্বজন তো আর দুস্থ নয়। এটা তো দুর্নীতি করা। তাদের আত্মীয়-স্বজনদের জন্য যদি নেয়া হতো তখন প্রকল্পে লেখা থাকতো। ২৪ কোটি টাকা অপচয় করার ছক যারা কষেছিল তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। নিশ্চয় মন্ত্রী-সচিবদের স্বজনদের দুগ্ধের ঘাটতি থাকার কথা নয়।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স